মশা মারবে ‘সৌর-বাতি’

মশা মারবে ‘সৌর-বাতি’

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : মশা নিধনে এক ব্যাতিক্রমী সৌর-বাতি আবিষ্কার করেছেন মালয়েশিয়ার একদল বিজ্ঞানী। এই সৌর-বাতি রাস্তার পাশে ল্যাম্প পোস্ট হিসেবে যেমন ব্যবহার করা যাবে তেমনি এর মাধ্যমে মশাও নিধন করা যাবে। সংবাদ : এশিয়ান সায়েনটিস্ট জার্নাল।

মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকরা বলেছেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ ও বাতাসের জোরে চলা বাতিগুলো থেকে কম ঘনত্বের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ঠিকরে বেরোয়। তার গন্ধ মশার ঝাঁককে কাছে টেনে আনে এবং মশারা আলোতে আত্মাহুতি দেয়। আলোর নীচে বসানো জাল নিমেষে মশাদের পেটের মধ্যে টেনে নেয়।’

গবেষকরা আরও বলেন, ‘এই সৌর-বাতি বসানোর খরচ খুব কম এবং দূষণ-মাত্রাও নগণ্য। কম ঘনত্বের কার্বন ডাই-অক্সাইড এত ধীরে ধীরে নির্গত হয় যে, তাতে ক্ষতিকারক গ্যাস (গ্রিন হাউস)-এর মাত্রায় তেমন হেরফের হয় না।’

কুয়ালা লামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে এটা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এ ধরনের আটটি বাতিস্তম্ভ বসেছে। শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও কয়েকটি জ্বলছে। এবং প্রাথমিক ফলাফল যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক। ‘আলোগুলো জ্বলে ওঠার কিছুক্ষণ বাদেই দেখছি, মশার ঝাঁক ছুটে আসছে।’— লিখেছেন গবেষকদলের প্রধান চং ওয়েন টং। গবেষণাপত্রে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘আলোর অতিবেগুনি (আলট্রা ভায়োলেট) রশ্মির সঙ্গে টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের বিক্রিয়ায় মৃদু (কম ঘনত্বের) কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে। তা বাতাসে মিশলে মশারা স্থির থাকতে পারছে না। মানুষের গন্ধ ভেবে সোজা ফাঁদে গিয়ে ধরা পড়ছে।’favicon5

Sharing is caring!

Leave a Comment