হাতঘড়ির আদি ও বর্তমান
- মাসুদ রাব্বানী
ঘড়ি এমন একটি যন্ত্র যা মহা মূল্যবান সময় ধারণ করে এবং নিখুঁত সময় নির্ধারণে সহযোগিতা করে।
আদিম যুগে মানুষের সময় দেখার প্রয়োজন ছিল না। সূর্য উঠলে শিকারে বেড়িয়ে পরত আবার সূর্য ডুবলে আস্তানায় ফিরে যেত। কিন্তু পরবর্তীতে শত্রুর আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের এলাকা পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তখন তারা সূর্যের ছায়া দেখে পাহারার সময়সূচি নির্ধারণ করে দিত। সেখান থেকেই ঘড়ির ধারণার উদ্ভব হয়। ধারণা করা হয় ৫০০০ বছর পূর্বে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি আবিস্কৃত হয়। যা সূর্য ঘড়ি নামে প্রচলিত ছিল। মিসর ও ব্যাবিলনে এই ঘড়ির প্রচলন ছিল।
তখন সূর্য ঘড়ি ছাড়াও আরও কয়েক ধরনের ঘড়ি যেমন পানি ঘরি, বালু ঘড়ি, আগুন ঘড়ি ইত্যাদি ধরনের ঘড়ির প্রচলন ছিল। পরবর্তীতে পকেট ঘড়ি নামে একটি ছোট ঘড়ি উদ্ভাবন করা হয়, যা মানুষ পকেটে নিয়ে ঘুরতে পার এবং এই পকেট ঘড়ি থেকে বিবর্তনের হাত ধরেই হাতঘড়ির সূচনা হয়।
বর্তমানে হাতঘড়ির রয়েছে বেশকয়েকটি সংস্করণ। এনালগ হাতঘড়ি, ডিজিটাল হাতঘড়ি এবং স্মার্ট ওয়াচ নামেও রয়েছে এক প্রকারের হাতঘড়ি। হাতঘড়ির সর্বশেষ সংস্করণ হলো এই স্মার্ট ওয়াচ। এটি একই সাথে ঘড়ি এবং মোবাইলফোনের কাজ করা যায় এটি দিয়ে। মোবাইলের সাথে তারবিহীন সংযোগ স্থাপন করা যায় এ ঘড়ির। ফলে মোবাইলে কোন প্রকার বার্তা বা কল আসলে সেটি বলে দেয় হাতে থাকা ঘড়িটি। এছাড়াও এই ঘড়ি দিয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রেও মোবাইলকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এনালগ ঘড়ি কাটা ঘুড়ে সময় বলে দেয়। এই পদ্ধতিটি প্রাচীন পদ্ধতির সাথে কিছুটা মিল থাকায় এটিকে এনালগ ঘড়ি বলা হয়। ডিজিটাল ঘড়ি সরাসরি ইংরেজি সংখ্যায় সময় দিতে সক্ষম। ডিজিটাল ঘড়ি সময়ের সাথে সাথে দিন, তারিখ, মাস ও বছরের নিখুঁত হিসেব দিয়ে থাকে।
প্রাচীন এবং বর্তমান ঘড়ির মধ্যে ব্যাপক বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন থাকলেও এর উদ্দেশ্যে একই রয়ে গেছে। তখনকার সময়েও মানুষ এটি ব্যবহার করত সময়ের সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য এবং এখনও মানুষ এটিকে সময়ের ধারণা পাওয়ার জন্যই ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিবেদকঃ শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি