ড. আমিনুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘স্মরণসভা’

ড. আমিনুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘স্মরণসভা’

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

দেশের বিশিষ্ট মৃত্তিকা বিজ্ঞনী, শিক্ষাবিদ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আজ (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এক স্মরণসভার আয়োজন করেছে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক আনোয়ার হাবিব কাজলের সভাপতিত্বে মরহুম ড. আমিনুল ইসলামের ওপর স্মৃতিচারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক গোলাম মওলা চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এম এম হামিদুর রহমান, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং মনিবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী ডিন অধ্যাপক ফারহানা হেলাল মেহতাব। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামের সহধর্মীনি হেলেন ইসলাম, কন্যা তাহসিনা ইসলাম, পুত্রবধু মেরিনা ইসলাম ও নাতনি মেহনাজ তাবাসসুম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, প্রফেসর আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে শুধু ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়েরই ক্ষতি হয়নি, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো বাংলাদেশ। কারণ তাঁর মতো নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষানুরাগী, গবেষক ও বিশিষ্ট মৃত্তিকা বিজ্ঞানী পেতে বাংলাদেশকে কতকাল অপেক্ষা করতে হবে, আমাদের জানা নেই। সত্যিকার অর্থেই তিনি ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ।

অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার আরো বলেন, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম ছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী। তাঁরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন। তারপর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও একসঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর মতো বিনয়ী, সৎ এবং পরিশ্রমী মানুষ তিনি জীবনে কম দেখেছেন বলে জানান অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম ২০০২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৬-২০০০ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিবিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে জুনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭৩ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গৌরবময় ভূমিকার জন্য তিনি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম ২০১৬ -২০১৮ মেয়াদে সায়েন্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভাপতি হিসেবে   দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সস–এর সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

Sharing is caring!

Leave a Comment