ড্যাফোডিলে ‘মাদকমুক্ত সুন্দর জীবন’ শীর্ষক সেমিনার

ড্যাফোডিলে ‘মাদকমুক্ত সুন্দর জীবন’ শীর্ষক সেমিনার

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যোৗথ আয়োজনে ‘মাদকমুক্ত সুন্দর জীবন’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হযেছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সঞ্জয় কুমার চৌধুরী এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. হামিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ডা. অরূপরতন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি মো. ফজলুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষরদেও ডীন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সঞ্জয় কুমার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে এখন প্রধান বাধা হচ্ছে মাদক। মাদকের ভয়াবহতা থেকে তরুণদেরকে দূরে রাখতে না পারলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া দূরহ হয়ে পড়বে। তাই আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে মাদক প্রতিরোধ করতে হবে।

সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ হয়েছে উল্লেখ করে সঞ্জয় কুমার চৌধুরী আরো বলেন, সরকার মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। নিয়মিতভাবে মাদবিরোধী অভিযান চলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। আজকের অনুষ্ঠান সেসব কর্মসূচিরই অংশ।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, মাদক শুধু নিজের জীবনকেই ধ্বংস করেনা, বরং পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়। এজন্য মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। যেসব বন্ধুরা মাদক গ্রহণ করে তাদের সঙ্গ পরত্যাগ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন শুধু ঢাকা শহরেই দেড় থেকে দুই কোটে টাকার মাদক বিক্রি হয়। সারা দেশে ৭৫ লাখের ওপর মাদকাসক্ত যুবক রয়েছে। প্রতিবছর এই সংখ্যা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে সচেতন হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনিকে আরও কঠোর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডা. অরূপরতন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৌতুহলেও মাদক গ্রহণ করা যাবে না। এমনকি শখের বশেও ধুমপান করা যাবে না। কারণ ধুমপানই সকল মাদকের প্রবেশদ্বার। যিনি ধুমপান করেন তারপক্ষে অন্য নেশায় আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ইতিবাচক নেশা যেমন বইপড়া, গান গওয়া, ছবি আঁকা, লেখালেখি করা ইত্যাদিতে আসক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

Sharing is caring!

Leave a Comment