পড়ার বিষয় : ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

পড়ার বিষয় : ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রথমেই বলে নিই, আমি প্রায় ৩ বছরের উপর হবে বিভিন্ন চাকরির জন্য ভাইভা দিয়েছি। মোট ৪০ টা কোম্পানি হবে।আজ পর্যন্ত কোন ইন্টারভিউ বোর্ড আমাক প্রশ্ন করেনি। কেন আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা  করেছি । তাই যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তি হতে চান তারা মোটেও হতাশ হবেন না । 


এ বছর যারা এইচএসসি দিয়েছেন এবং ইইই (Electrical and Electronic Engineering) পড়তে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে এবং জব মার্কেট নিয়ে  অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবেন তানিম।

আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে ইইই(EEE) বিভাগ থেকে পড়াশুনা শেষ করেছি বছর তিনেক হলো।এখন আমি একটি  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি । আমার জীবনে অনেক ইন্টারভিউ দিয়েছি এবং অনেক কিছু শিখেছি। আমি কোনো প্রাইভেট / পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলবো না। কারণ অভিজ্ঞতা থাকলে   বিশ্ববিদ্যালয় কোনো মুখ্য বিষয় না।

এখন আসি কেনো এই সাবজেক্ট নিয়ে  পড়বেন- যে কেউ সিভিল/কম্পিউটার/মেক্যানিকাল/আর্কিটেকচার পড়তে পারেন। এই ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট গুলো শুধু একটি স্পেশালাইজড ফিল্ড নিয়ে। কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে আপনি সবগুলা ফিল্ডে কাজ করতে পারবেন ।আপনি চিন্তা করেন দেখেন কোথায় ইলেকট্রন এর ব্যবহার নেই আজকের এই সভ্যতায়। আপনি একটা সাবজেক্ট এর পদার্থ থেকে শুরু করে  রসায়ন সব জানতে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিকল্প নেই ।

তড়িৎ প্রকৌশল, প্রকৌশলবিদ্যার অন্যান্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রসর, শুধু তাইনা এর কর্মপরিধিও অনেক বেশি। বিদ্যুৎ শক্তি, নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, মাইক্রোইলেকট্রনিক্স, টেলিযোগাযোগ, সহায়ক যন্ত্র সম্পর্কিত প্রকৌশল, কম্পিউটার প্রকৌশল, বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশল কি নাই যাতে আপনি কাজ করতে পারবা না? আপনি  চার বছরের পড়াশুনা তে এই যেকোন একটি বিষয় যদি ভাল করে বুঝতে পারেন , আপনাকে আর পায় কে। মনে রাখবেন , কোন বিষয় কে ছোট করে দেখবেন না ।
এখন আসি, চাকুরীর বাজার নিয়ে। একটা কথা মনে রাখবেন,  আপনার রেজাল্ট যাই হোক না কেন, চাকুরীর ইন্টারভিউএ ৫ মিনিট সময়ের মাঝে আপনি প্রমান করতে হবে যেন আপনিই সেরা। তাই বেসিক খুব ভাল থাকা চাই ।

যারা জব খোঁজবেন তারা আগেই আপনাদের পছন্দের বিষয়টা (টেলিকমিউনিকেশন, / আইটি / অটোমেশন / শক্তি Engg./Software/VLSI/Power সিস্টেম) রপ্ত করে নিবেন. খুব সুন্দর একটা সিভি বানাবেন. আপনি যা যা স্কিল আছে লিখবেন. আপনি পড়া শেষ করার সাথে সাথে CCNA, / CCNP, / পিএলসি, / ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক এর একটা / দুইটা কোর্স করে নিবেন. তাতে আপনাদের জানার পরিধি বাড়বে এবং সিভি টা ভারী হবে. পাশাপাশি আপনারা আইইএলটিএস / টোফেল, জিআরই পড়া শুরু করতে পারেন, (যাদের বাইরে যাবার ইচ্ছা আছে)

কোথায় পড়বেন ঃ

নিন্ম লিখিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইইই (EEE) তে পড়তে পারেন । IEBAccreditedUniversities1

১। আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক্স এর ফিল্ড খুব বেশি ভালোনা। হাতেগোনা কিছু VLSI ডিজাইন কোম্পানি আছে। আরও অনেক বছর পর এই ফিল্ডে সবচেয়ে বেশী জব থাকবে।

২। টেলিকমের ফিল্ড Saturated অবস্থায় আছে। সাবকন কিছু আছে ভাল সেখানে চেষ্টা করতে পার Huawei, ericsson,NEC, এর মতো কিছু ভেন্ডার আছে। কিন্তু পরিচিত আর জানাশুনা পাবলিক না থাকলে কল পাওয়া মুশকিল।

৩। যদিও দেশে অনেক পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে এরপরও সুযোগ কম।অনেক পাওয়ার প্ল্যান্ট এ ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ার দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়। কিন্তু এখনও অনেক জব পাওয়া যায় । (BSRM.KSRM,Energy PAC,POwer Pac,Rohim-afroze,LG,RANGS,SAMSUNG,WALTON …) এইসব জায়গায় সিভি এর হার্ড কপি জমা দিয়ে রাখবা।

৪। এই মুহূর্তে IT, Networking, Software, এসব ফিল্ডে প্রচুর জব রয়েছে। তাই প্রোগ্রামিং এ স্কিল থাকলে জব পাওয়া খুব সহজ।

সূত্রঃ সামওয়ারব্লগ favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment