বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজে…

বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজে…

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি

তৈরি পোশাক খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করে চলেছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদ—অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়েও পাঠদান করা হয়। বিভিন্ন ল্যাবে ব্যবহারিক শিক্ষার ক্লাস চলে। কাপড় তৈরি থেকে শুরু করে বাজারজাত করার পুরো প্রক্রিয়াই এখানে শেখানো হয় হাতেকলমে। এখানে পোশাক বাজারজাত শেখানোর জন্য আছে দুই বছরের এমবিএ কোর্স।

শান্তমারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি

শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ২০০৩ সালে। বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত সৃজনশীলতার ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী মো. মফিজুর রহমান জানান, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদ : ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড জেনারেল স্টাডিজ ও ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস। তিনটি অনুষদে আছে ১৮টি বিভাগ। হাতেকলমে কাজ শেখার ব্যাপারটিকেই এখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই শিক্ষাজীবনেই শিক্ষার্থীরা কাজ শিখে ফেলে।

শান্ত-মারিয়াম একাডেমি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি নামে একটি একাডেমিও আছে। সেখানে গান, নাচ ও ছবি আঁকা বিষয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি

নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার ও টেকনোলজি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অনেক বিষয় পড়ার সুযোগ আছে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে। পড়ানো হয় মেকানিক্যাল, সিএসই, ত্রিপল ই, সিভিল, আর্কিটেকচারসহ যুগোপযোগী অনেক বিষয়। এলএলবি অনার্স, এলএলবি প্রিলি ও মাস্টার্স এবং এক ও দুই বছরের এলএলএম করারও সুযোগ আছে। ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, টেক্সটাইল ও ফ্যাশন টেকনোলজি বিষয়ে বিশেষায়িত এমবিএ ডিগ্রিও দেয় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস (বিইউএইচএস)

বারডেমের অর্থায়নে ২০১২ সালের নভেম্বরে এটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। পুরোপুরি বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদ—বেসিক সায়েন্স, পাবলিক হেলথ, অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স ও হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনা হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের অনেকটা সময় গবেষণাগারেই কাটাতে হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)

আইইউবিএটির উপাচার্য ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান জানান, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থানের কথা ভেবেই আইইউবিএটির পাঠ্যসূচিতে কৃষিবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং পরে অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স নামের একটি ফ্যাকাল্টি খোলা হয়েছে।

বাকি বিভাগগুলো হলো—বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং। আছে অর্থনীতি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, নার্সিং এবং হেলথ সায়েন্স ও মেডিক্যাল এডুকেশন বিভাগ।

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment