বিতার্কিকদের নৈয়ায়িক

বিতার্কিকদের নৈয়ায়িক

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক 

এ যেন বিতার্কিকদের বসতি। তাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কচর্চা বলতেই এক নামে উচ্চারিত হয় নৈয়ায়িকের নাম। এই বিতর্ক সংগঠনের হয়েই যুক্তির মশাল জ্বালিয়ে রেখেছেন সদস্যরা। আর তা শুধু ক্যাম্পাসে নয়, সারা দেশের বিতর্ক অঙ্গনেও।


২০০১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা নৈয়ায়িক নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সম্প্রতি ১৫ বছরে পা রেখেছে। সংগঠনের সভাপতি ও ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসান আক্তার বলেন, ‘আমাদের কাছে নৈয়ায়িক শুধু একটি সংগঠন নয়, একটা স্বপ্ন-সম্ভাবনার নাম।’

সংগঠনটির বর্তমানে সদস্য প্রায় ৫০। তাঁরা নিজেরা যেমন বিতর্কচর্চা করেন, তেমনি সে আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করেন খুলনার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সপ্তাহের প্রতি বুধবার বিকেলে তাঁরা শামিল হন বৈঠকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই সাপ্তাহিক সভাতেই বিতর্কচর্চার আসর বসে তরুণ বিতার্কিকদের নিয়ে।

নৈয়ায়িকের সাধারণ সম্পাদক ও ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমিন নাহার বলেন, ‘এই সংগঠন আমাদের আরেকটি পরিবার। এখানেই আমরা শিক্ষা পেয়েছি কীভাবে সামাজিক হতে হয়, হতে হয় মানবিক। সাংগঠনিক হওয়ার দীক্ষা কিংবা নিজেকে উপস্থাপন করার কৌশলও আমরা শিখেছি নৈয়ায়িকে।’

তাঁদের বিভিন্ন আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনের সভাপতি জানান, নৈয়ায়িকের বড় আয়োজনের মধ্যে ছিল আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আর নিয়মিত আয়োজনের মধ্যে আন্তডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং আন্তহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রায়ই হয়ে থাকে। এ বছরই নৈয়ায়িক আয়োজন করতে যাচ্ছে সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে পুনর্মিলনী।

সংগঠনের পুরোনো সদস্যরাও তাই গর্ব করেন নৈয়ায়িক নিয়ে। তাঁদের একজন নৈয়ায়িকের সাবেক সভাপতি ও বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী কবরী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় খুব ভালোবাসতাম সংগঠনকে। আমি যা কিছু শিখেছি, একাডেমি ও পরিবারের বাইরে তার পুরো কৃতিত্বটা নৈয়ায়িকের।’favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment