ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সম্মেলন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সম্মেলন

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

গত ১২-২১ মে জার্মানির ইলমেনাও শহরে অনুষ্ঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সম্মেলন, ২০১৭’। ১২০টি দেশের ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী যোগ দেয়।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুস্তাফা আমির ফয়সাল, একেএম ফজলে রাব্বী, ধনিষ্ঠা চাকমা, মো. সাইফুল ইসলাম, সৈয়দা সুখাইনা মুমতারিন ও সামিন ইয়াসার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইশমাম মাজিদ ও বুয়েট থেকে আহমেদ আসিফ সামি ও জাওয়াদ সাদমান সিদ্দিক এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

আইএসডব্লিউআই ২০১৭-এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল পৃথিবীজুড়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। বর্তমান সময়ে নাগরিকদের আতঙ্ক বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি অন্যায়ের প্রতিরোধ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার মানে সম্পদের সুষম বণ্টন, সংহতি কিংবা বিনামূল্যে শিক্ষা। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তাই ছিল এ সম্মেলনের লক্ষ্য।

মোট দশ দিনে দলগত কাজ, ওয়ার্কশপ, আলোচনা এবং প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার বিভিন্ন উপায় এবং এ নিয়ে নিজেদের আইডিয়া দিয়ে কাজ করে।

এটি শুরু হয় সিটি পার্কে একটি কনসার্টের মাধ্যমে। সম্মেলন চলাকালীন সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রতিযোগীরা নিজেদের দেশের বিখ্যাত খাবারের পসরা সাজিয়েছিল। যাতে যোগ দেয় ইলমেনাও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী এবং অধিবাসীরাও। বাঙালি পোশাকে শিক্ষার্থীরা বাকরখানি, চানাচুর, আমসত্ত্ব, চিড়া, মুড়ির মতো দেশি খাবার নিয়ে উপস্থিত ছিল। আরেকটি অনুষ্ঠান ছিল ‘ফেয়ার ফেয়ার’ যেখানে বাংলাদেশি প্রতিযোগীরা এদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ আর সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলে।

সম্মেলনে মোট ২৭টি দলের প্রতিটিই একেকটি সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে কাজ করেছে। বিভিন্ন অভিজ্ঞজন, শিক্ষক, বক্তা তাদের ধারণাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তাধারার ব্যাপারেও শুনেছেন; যার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে বৈশ্বিক মতামত।

সুত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment