ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (সিএসসি)-এর আয়োজনে গতকাল ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ‘সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা: সাইবার স্পেস ব্যবহারের সময় নিরাপদ থাকুন’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যে ছ’টায় অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিম, এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, ডাচ বাংলা ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মো. মুশফিকুর রহমান এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভুঁইয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক মো. মারুফ হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রেজাউল করিম, এনডিসি বলেন, একটি দেশের জলপথ, স্থলপথ ও আকাশপথ সুরক্ষার জন্য যেমন ব্যবস্থা থাকে তেমনি সাইবার স্পেস রক্ষার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য আমাদের নীতিমালা দরকার, প্রযুক্তি দরকার, অবকাঠামো দরকার এবং দক্ষ মানবসম্পদ দরকার। বাংলাদেশ ক্রমশ ডিজিটাল হচ্ছে। এখন থেকেই সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় মো. রেজাউল করিম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রশংসা করে বলেন, সাইবার নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার গড়ে তুলেছে, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

মো. রেজাউল করিম আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকার অনেক তৎপর। ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হয়েছে। তবে সর্বস্তরের জনগণ সচেতন না হলে কাক্সিক্ষত সাফল্য আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তিনটি ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়, কর্মজীবী পর্যায় এবং বয়স্ক পর্যায়। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং গাইড লাইন দরকার বলে অভিমত প্রদান করেন তিনি।

মোহাম্মদ নূরুজ্জামান আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বপ্রথম পলিসি মেকারদেও সচেতন হতে হবে। এরপর টেকনিক্যাল টিমদের সচেতন হতে হবে এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদেরকে সচেতন হতে হবে।

ড্যাফেডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সাইবার অপরাধ রোধ করা ও সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে উচ্চতর পর্যায়ের গবেষণা করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। এছাড়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান যেমন সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি করে যাচ্ছে। এর বাইরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে থাকে সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার।

Sharing is caring!

Leave a Comment