‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিচ ফেলোশিপ’ এর সনদ প্রদান

‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিচ ফেলোশিপ’ এর সনদ প্রদান

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলাপমেন্ট ইন্সটিটিউট আয়োজিত এক বছর মেয়াদী ‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিচ ফেলোশিপ (টিএএফ)’ প্রোগ্রাম এর সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে এ সনদ প্রদান করেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন ও টিএএফ প্রোগ্রামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এলাইড হেলথ সায়েন্সের ডীন অধ্যাপক ড. আহমদ ইসমাইল মোস্তফা,  রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এ এম এম হামিদুর রহমান সহযোগী ডীন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব , ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল ও  হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলাপমেন্ট ইন্সটিটিউটের উপ পরিচালক এজাজ-উর- রহমান। এ ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৪৩ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২২ জন টিচিং এসিস্টেন্ট ও গবেষণা সহযোগী হিসেবে ইতিমধ্যে নিয়োগ পেয়েছে।   

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষ সাধন করাই এই সময়ের প্রধান চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ করতে পারেন একমাত্র প্রাজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকগণ। অনলাইন শিক্ষায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এখন উন্নতির শিখরে রয়েছে। গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ছাড়া এই অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই মানসম্মত শিক্ষক তৈরির উদ্যোগ হিসেবে এ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । 

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষক নিয়োগ হয় সাধারণত পরীক্ষার সেরা ফলের উপর ভিত্তি করে। সেরা ফলের সঙ্গে যদি প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ যুক্ত করা যায় তাহলে তিনি হয়ে উঠবেন বিশ্বনেতা। এসব দিক বিবেচনা করেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষ, প্রাজ্ঞ, মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

‘টিচিং অ্যাপ্রেন্টিচ ফেলোশিপ’ প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণরূপে নেতৃত্ব বিকশিত করার প্রোগ্রাম। এক বছর মেয়াদী এই ফেলোশিফ প্রোগ্রামের মাধ্যমে একজন তরুণ শিক্ষক তার পেশাগত বিকাশ এবং শ্রেণিকক্ষের নেতৃত্ব গুণ বিকশিত করতে পারবেন। প্রোগ্রামটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ, নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরি করা।

Sharing is caring!

Leave a Comment