টার্গেট যখন ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট

টার্গেট যখন ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক 

‘ঘ’ ইউনিট হচ্ছে বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা- সবার জন্য একই ভর্তি পরীক্ষা হলেও মেধাতালিকা আলাদা হয়। পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে দরকারি পরামর্শ থাকছে এখানে।


‘ঘ’ ইউনিটে ১০০টি প্রশ্নে ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয়। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২। বাংলা ও ইংরেজি থেকে ২৫টি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে ৫০টি প্রশ্ন থাকে। সাধারণ জ্ঞান অংশটিতে আলাদা ২৫টি করে বাংলাদেশ বিষয়ক ও আন্তর্জাতিক ঘটনার ওপর প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৩০ করে নম্বর কাটা যাবে। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়লে ‘ঘ’ ইউনিটে ভালো করা বেশ সহজ হয়। মনে রাখতে হবে- বাংলা ও ইংরেজিতে ভালো নম্বর না থাকলে স্কোর ভালো থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত বিষয় পাওয়া যাবে না। কাজেই এ দুটি বিষয়ে অতিরিক্ত সময় দিতে হবে।

বাংলা

বাংলায় ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রশ্ন থাকে ২৫টি। এর মধ্যে সাত থেকে আটটি প্রশ্ন আসে বাংলা প্রথম পত্র থেকে। বাকি প্রশ্ন আসে বাংলা ব্যাকরণ ও শব্দভিত্তিক অংশ থেকে। বাংলা প্রথম পত্রে গল্প ও কবিতা থেকে প্রশ্ন হয়। বোর্ড নির্ধারিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বই ভালোভাবে আয়ত্ত করলে প্রথম পত্রের জন্য ভাবতে হবে না।

ব্যাকরণ অংশে ভালো করার জন্য মুনীর চৌধুরী রচিত নবম-দশম শ্রেণির বোর্ডের বাংলা বই অনুশীলন করতে হবে। এখান থেকেই বেশির ভাগ প্রশ্ন হয়ে থাকে। বাড়তি প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত ভালো মানের কোনো বই দেখতে পারো।

সমার্থক শব্দ থেকে প্রায় প্রতিবছরই প্রশ্ন হয়। এ ছাড়া বাগধারা, শুদ্ধ-অশুদ্ধ থেকেও প্রায় বছরই প্রশ্ন করা হয়। শব্দভিত্তিক প্রশ্নের জন্যও মুনীর চৌধুরীর বইটি গুরুত্বপূর্ণ। ‘ঘ’ বিভাগে বাংলা প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই বাংলায় অতিরিক্ত নজর দিতে হবে। ভালো করার জন্য বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করা যেতে পারে। এখান থেকে অনেক প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়।

ইংরেজি

ইংরেজিতেও ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রশ্ন থাকে ২৫টি। অন্য ইউনিট থেকে ‘ঘ’ ইউনিটের ইংরেজির প্রস্তুতি একেবারেই আলাদা। সাধারণত এ ইউনিটে ইংরেজি পাঠ্য বই থেকে কোনো প্রশ্ন আসে না। তাই নতুন করে পাঠ্য বই পড়তে না যাওয়াই ভালো। এখানে শব্দভিত্তিক প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে প্রতিবছরই ১০-১২টি প্রশ্ন আসে। এর মধ্যে synonym-antonym থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি প্রশ্ন থাকে। synonym-antonym এমনভাবে পড়তে হবে, যাতে একই সঙ্গে বানানও পড়া হয়ে যায়।  Group verb পড়তে অসুবিধা হলে বাদ রাখাই ভালো।

ব্যাকরণ অংশ থেকে প্রতিবছর ছয় থেকে সাতটি প্রশ্ন আসে। এ জন্য ইংরেজি গ্রামার ও TOEFL-এর ভালো মানের একাধিক বই পড়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে noun, adverb, sentence complete অংশ থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে। passage থেকে প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয়টি প্রশ্ন আসে।

ভালো করার জন্য বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়লে কাজে আসবে।

সাধারণ জ্ঞান

‘ঘ’ ইউনিটে সাধারণ জ্ঞান অংশটি ভালো করলে সুযোগ পাওয়া সহজ হয়। এ জন্য নিয়মিত সংবাদপত্র পড়া আর টিভির খবর দেখতে হবে। পত্রিকা পড়তে গিয়ে নতুন কোনো তথ্য পেলে তা অবশ্যই টুকে রাখবে। বিসিএস গাইড বই থেকে সাধারণ জ্ঞানের অধ্যায়গুলো পড়তে পারো। সাধারণত দুটি অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। একটি হলো বাংলাদেশ অংশ, অন্যটি আন্তর্জাতিক। উভয় অংশ থেকে ২৫টি করে প্রশ্ন থাকে। দুটি অংশে মোট নম্বর ৬০।

সাম্প্রতিক বিষয়ে উভয় অংশ থেকে সাধারণত ১৪ থেকে ১৫টি প্রশ্ন আসে। এখানে ভালো করার জন্য পরীক্ষার আগের দু-তিন মাসের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি যত্নসহকারে পড়তে হবে। অন্যান্য অংশে ভালো করার জন্য বিভিন্ন পুরস্কার, বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, বিখ্যাত মনীষীদের জীবনী, বইয়ের লেখক, বিখ্যাত প্রণালি, বিশ্ব রাজনীতি ইত্যাদি আয়ত্তে আনতে হবে। যেকোনো বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন আসতে পারে। তাই তোমার তথ্যভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, উত্তর করা তত সহজ হবে।

সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ।  favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment