ভালো করার অনুপ্রেরণা

ভালো করার অনুপ্রেরণা

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক 

সাগরকন্যা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন রাবনাবাদ নদীতীরের ছোট্ট গ্রাম মধুপাড়ায় আমার জন্ম। বাবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আমার শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। পরে নিজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৬ ও ২০০৮ সালে সাফল্যের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হই। পছন্দের বিষয় পেয়ে আমি অনেকটাই আনন্দিত ছিলাম। এই বিভাগে পড়তে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।

ছোটবেলা থেকেই আমি ইতিহাসের প্রতি দুর্বল ছিলাম এবং ইতিহাস বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়া এক সময় আমার নেশায় পরিণত হয়েছিল। নিজের ভালো লাগাকে পুঁজি করে ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় সফলতার সঙ্গে সে পথ পাড়ি দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথমদিকের সময়টা ছিল সংগ্রামের। আমাদের হলের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মেসে থেকে পড়াশোনা করতাম। পড়েছি ভালো লাগা থেকে ও জানার জন্য। প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় বিভাগে আমি প্রথম হই। এতে ভালো ফলের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়। মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের মধ্যে আমাকে নিয়ে একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়। তাদের সে অনুপ্রেরণা থেকেই শেষ পর্যন্ত প্রথম হয়েছি।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সেমিনার, লাইব্রেরি থেকে শুরু করে সবকিছুতেই একটা সীমাবদ্ধতা ছিল। তার পরও নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন গ্রন্থাগার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ও শিক্ষকদের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়েছি। বন্ধুদের সবাই আমার ব্যাপারে ছিল খুবই মনোযোগী, সহযোগী ও আন্তরিক। ওদের ভালোবাসা আমার চলার পথকে মসৃণ করে দিয়েছে।

আমি মনে করি, ভালো ফলের জন্য ইচ্ছাশক্তি ও মনোযোগ যথেষ্ট। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রত্যয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন-এর সঙ্গে জড়িত। সর্বোপরি শিক্ষক বাবার সন্তান হিসেবে সব সময় শিক্ষক হওয়ার প্রতি ঝোঁক ছিল। তা ছাড়া জাতিকে সুশিক্ষিত, সুনাগরিক, জ্ঞানী করে তুলতে বেশি ভূমিকা পালন করেন শিক্ষক। স্নাতকোত্তর শেষে উচ্চশিক্ষা বিশেষ করে এমফিল, পিএইচডি করে শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।

স্নাতক প্রথম স্থান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

Sharing is caring!

Leave a Comment